Search
Close this search box.

,

কেমন হওয়া উচিত IELTS এর পূর্বপ্রস্তুতি

🇬🇧 IELTS, মুলত একটি ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরিক্ষা, যা পৃথিবীর বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো গ্রহন করে থাকে।
এই পরিক্ষার মানদন্ডে ভাল স্কোর নিতে পারলে সুযোগ খুলে যায় পৃথিবীর অনেক দেশে পড়াশুনা এবং মাইগ্রেশন করার সুযোগ। এছাড়া বিভিন্ন দেশে; বিশেষ করে ইউরোপিয় দেশ গুলোতে এটা প্রায় বাধ্যতামুলত যে আইইএলটিএস এ ভাল স্কোর থাকতে হবে।
ℹ এটা কিন্তু খুব কঠিন বিষয় নয়, অথচ প্রতি বছর শুধুমাত্র আইইএলটিএস এ ভাল স্কোর না থাকার কারনে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশের পড়াশুনার জন্য আবেদন ই করতে পারে না ভার্সিটির বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিস্ট পয়েন্ট রিকুয়ারমেন্ট থাকার কারনে।
✔ ✔ ব্রিটিশ ইনফিনিটি আজকে শেয়ার করবে কিভাবে আইইএলটিএস এর প্রস্তুতি নেয়া যায় সহজে, যার মাধ্যমে সহজেই, সঠিক উপায়ে ভাল স্কোর পাওয়ার সুযোগ থাকে।
💠 আগে আইইএলটিএস এর ধরনের ব্যাপারে জেনে নেইঃ
IELTS মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ
◾ অ্যাকাডেমিক
◾ জেনারেল।
যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে যেতে চান তাদের জন্য অ্যাকাডেমিক আর যারা কাজ বা স্থায়ী বসবাসের জন্য যেতে চান তাদের জন্য জেনারেল।
দুই ধরনের IELTS এই চারটি সেকশন থাকে:
◾ লিসেনিং,
◾ রিডিং,
◾ রাইটিং
◾ স্পিকিং।
অর্থাৎ IELTS এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে ইংরেজি শোনা, পড়তে পারা, লেখা ও বলার দক্ষতা কতটুকু। IELTS এর স্কোর হয় ব্যান্ড হিসেবে, যেখানে সর্বোচ্চ ব্যান্ড ৯। প্রতিটি সেকশনে আলাদা আলাদা স্কোর হয় এবং চারটি সেকশনের স্কোরের গড় হলো সামগ্রিক স্কোর।
✳ আইইএলটিএস এ ভাল স্কোরের জন্য কত দিনের প্রস্তুতি প্রয়োজনঃ
IELTS এর প্রস্তুতির ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি করা হয় সেটি হচ্ছে ভালো স্কোর করতে কতদিন সময় লাগে। এই প্রশ্নটির কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই। প্রস্তুতির সময় সম্পূর্ণ নির্ভর করবে ইংরেজির দক্ষতা এবং এটা সঠিক ভাবে দ্রুত ব্যবহার করতে পারার দক্ষতার উপরে।
তবে ইংরেজি দক্ষতা যেমনই হোক না কেন, রিডিং সেকশনের জন্য সবার পড়ার অভ্যাস থাকতে হবে। এটি আবশ্যক। রিডিং সেকশনে তিনটি প্যাসেজ থেকে প্রশ্ন হয়, আর প্যাসেজগুলো একেকটি ৭০০-৮০০ শব্দের হয়। সুতরাং পরীক্ষার চাপ আর মাত্র এক ঘন্টা সময়সীমা পড়ার দক্ষতার বেশ ভালো পরীক্ষাই নেবে; এটা নিশ্চিত।
✳ স্পিকিং এ কিভাবে প্রস্তুতি নিলে ভাল হয় ?
ইংরেজি বলতে গেলে সবাই কমবেশি ভালো বোঝে। ইংরেজিতে ভালো লেখে। কিন্তু বলতে গেলে সমস্যা তৈরি হয়।
শুধুমাত্র চর্চা না থাকার কারনে।
তাই প্রথমেই স্পিকিং এর বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিত। স্পিকিংয়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ইংরেজিতে কথা না বলার অভ্যাসের কারণে। একটি ভাষা শুধু জানলেই হয় না, নিয়মিত যদি সেই ভাষা চর্চা না করা হয় তাহলে বলার সময় কথা আটকে যাবে এবং এটিই স্বাভাবিক।
এছাড়া আমরা বাংলার মতো ইংরেজি খুব দ্রুত বলার চেষ্টা করার কারনে অনেক সময় কথা জড়িয়ে যায়। তাই ইংরেজি বলার বা চর্চা করার সময় ধিরে ধিরে ইংরেজি বলার চেষ্টা করা উচিত।
তাই এর জন্য আমরা রেকোমেন্ড করছি রেজিস্ট্রেশন করার পর থেকেই সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার ঘন্টা কারো সাথে অনুশীলন করার।
যদি সম্ভব হয় স্মার্টফোনে নিজের স্পিকিং রেকর্ড করুন। নিজেই যাচাই করতে পারবেন। স্পিকিং পরীক্ষার তারিখ এভারেজে তিন চারদিন আগেই জানিয়ে দেয়া হয়। তাই যেদিন স্পিকিং এর তারিখ জানবেন, সেদিন থেকে যত বেশি সম্ভব ইংরেজিতে কথা বলুন।
অর্থাৎ যেদিন পরিক্ষা হবে তার ঠিক কয়েকদিন আগে থেকে ইংরেজিতে সব কথাবার্তা চালিয়ে জেতে পারেন। এটা কনফিডেন্স যোগাবে ভাল পার্ফর্মেন্সের জন্য।
✳ স্পিকিং এ মার্কিং করা হয় চারটি বিষয়ের উপর-
◾ Fluency ( সাচ্ছন্দে কথা বলা )
◾ Coherency ( সঙ্গতিপুর্নতা )
◾ Vocabulary ( শব্দ চয়ন )
◾ Grammar ( ব্যাকরণ )
এখানে এই চারটি বিষয় নির্ধারন করবে, কথা কত সাচ্ছন্দে বলা হচ্ছে, সঙ্গতিপুর্ন কিনা, শব্দ চয়ন সঠিক হচ্ছে কিনা, ব্যাকরণ গত ভুল আছে কিনা।
এই চারটি বিষয় ঠিক থাকলে স্পিকিং সেকশনে ভাল পয়েন্ট পাওয়া যাবে।
এছাড়া একটা ভুল ধারনা আছে ব্রিটিশ এক্সেন্টে কথা না বলতে পারলে পয়েন্ট কম আসবে। বিষয়টা সত্য নয়, কারন ব্রিটেনেই প্রায় ৪০+ ধরনের এক্সেন্টে কথা বলা হয়ে থাকে। তাই চেস্টা করা উচিত স্পষ্ট উচ্চারনে কথা বলতে পারা। আর এটাই যথেষ্ট হবে।
স্পিকিং টেস্ট মূলত তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে।
◾ প্রথম অংশেঃ
যে পরীক্ষক থাকবেন, তিনি খুবই সাধারণ কিছু বিষয়ে কথা বলবেন। যে প্রশ্ন গুলো কারো সাথে পরিচিত হতে গেলে করা হয়ে থাকে।
◾ দ্বিতীয় অংশেঃ
একটি কিউ কার্ড দেয়া হবে যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দুই মিনিটের মতো বলতে হবে, অনেকটা উপস্থিত বক্তৃতার মতো।
◾ শেষ অংশেঃ
পরীক্ষক কিছু বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য জানতে চাইবেন।
বেশিরভাগ প্রশ্নই হবে দ্বিতীয় অংশের সাথে সম্পর্কিত।
যেমন, যে বিষয়ে বলতে বলা হয়েছিল সে বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন।
⭐ এখানে একটা টিপস হলঃ
কোন প্রশ্ন করার পর সে বিষয়টার সম্পর্কে যা জানা থাকে তাই বলে যাওয়া উচিত। এতে ভাল একটা ইম্প্রেশন তৈরি হবে। আর কিউ কার্ড পাওয়ার পর নির্দিস্ট বিষয়ে কম করে দুই মিনিট ব্যাপি বলে যাওয়াটা ঠিক হবে।
এখানে মুলত বলা তথ্য গুলো গুরুত্বপুর্ন নয়, গুরুত্বপুর্ন কে কতটা গুছিয়ে ভালভাবে বলতে পারছে।
✳ লিসেনিং এর প্রস্তুতিঃ
লিখিত পরীক্ষার দিনে পরীক্ষা শুরু হয় লিসেনিং দিয়ে।
* লিসেনিংয়ে চারটি সেকশন থাকে,
* প্রতিটিতে দশটি করে প্রশ্ন থাকে।
* প্রশ্নগুলো হয় মূলত শূন্যস্থান পূরুণ, এমসিকিউ, টেবিল মেলানো ও একটি ম্যাপ রিডিং।
শূন্যস্থানের ক্ষেত্রে বানান খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভুল বানানে কিন্তু কোনো মার্ক পাওয়া যায় না। প্রথম সেকশন বেশ সহজ হয় এবং ধীরে ধীরে কঠিন হতে থাকে। লিসেনিং হয় মূলত ৪০ মিনিট, যার মধ্যে প্রথম ৩০ মিনিটে কম্পিউটারে চালানো ভয়েস রেকর্ডার শুনতে শুনতে প্রশ্নপত্রে উত্তর লিখতে হয়। শেষ দশ মিনিট থাকবে সেই উত্তরগুলো মূল উত্তরপত্রে লেখার জন্য।
📌 টিপসঃ
◾ যেহেতু কোনো নেগেটিভ মার্কিং নেই, কোনোটি না পারলেও অনুমান করে একটি উত্তর লিখে আসা জেতে পারে। ক্ষতি হবার চান্স না থাকলেও সঠিক হলে কিছু পয়েন্ট যুক্ত হতে পারে।
◾ লিসেনিং এ ভাল করার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে ইংরেজি ভিডিও দেখা আর ক্যামব্রিজের IELTS এর বইগুলো থেকে অনুশীলন করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সবাই ইংরেজি মুভি বা সিরিজ দেখার পরামর্শ দিলেও সাথে ডকুমেন্টারি ও ইংরেজি খবর দেখা উচিৎ। মুভি বা সিরিজে খুবই ক্যাজুয়ালি কথাবার্তা বলে বেশিরভাগ সময়। কিন্তু ডকুমেন্টারিতে পুরো ফরম্যালভাবে কথা বলে, যা লিসেনিংয়ের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেকশনের জন্য বেশ কাজে লাগবে।
✳ রিডিং এর প্রস্তুতি যেভাবে নেয়া উচিতঃ
লিসেনিং এর পরেই রিডিং পরিক্ষার অংশ শুরু হয়। রিডিংয়ে তিনটি মাঝারি আকারের প্যাসেজ থেকে প্রশ্ন করা হবে। মোট ৬০ মিনিটের রিডিং এর জন্য।
ℹ সুতরাং প্রতিটি প্যাসেজের জন্য গড়ে ২০ মিনিট করে পাওয়া যায়।
ইংরেজি পড়ার অভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ রিডিংয়ে ভালো করার জন্য।
পড়ার অভ্যাস বাড়ানোর জন্য ইংরেজি বই পড়ার বিকল্প নেই। যে বই পড়তে ভাল লাগে সেটাই পড়া জেতে পারে। প্রথমে একটু কঠিন মনে হলেও ধিরে ধিরে সহজ মনে হবে।
✳ রাইটিং এর প্রস্তুতিঃ
স্পিকিংয়ের মতো রাইটিংয়েও মার্কিং হয় চারটি ভাগে-
◾ যে ব্যাপারে লিখতে বলা হয়েছে সে ব্যাপারেই লেখা হয়েছে কিনা।
◾ যে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে তার উল্লেখ আছে কিনা।
◾ কোন অংশ বাদ দেয়া হয়েছে কিনা।
◾ লেখার ভিতরে মার্জিত বিষয়টা আছে কিনা।
এখানে মুলত ফর্মাল টোনে লেখা টা খুব জরুরি, যাতে মার্জিত ভাবটা থাকে, কারন পরিক্ষার খাতায় যা কিছু তাই লেখা যায় না। সঠিক ভাবে যদি অল্প লেখা হয় তবে সেটাই ভাল পয়েন্ট এনে দিতে পারবে।
✔ হাতের লেখা সুন্দর হলে ভালো মার্কের সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং তার সাথে সাথে সঠিক শব্দ যোগ, একি শব্দ বার বার লেখা এরিয়ে যাওয়া খুব গুরুত্বপুর্ন। এরসাথে গ্রামারের বিষয়টায় খুব সতর্ক থাকা উচিত।
✔ লেখা প্যারা অনুযায়ী লেখা উচিত, মানে আলাদা আলাদা প্যারায় আলাদা বিষয়। যাতে সব কিছু একসাথে না হয়ে যায়।
⭐ মোট কথা আলাদা আলাদা পার্ট এর জন্য আলাদা আলাদা প্রস্তুতি নেয়া উচিত। আর এর জন্য আগে থেকে যদি প্রস্তুতি নেয়া যায় তবে খুব সহজেই ভাল একটি স্কোর নিয়ে সফল হওয়া যায় আইএলইটিএস পরিক্ষায়।
💠 অনেক সময় সঠিক গাইডলাইন, মনিটরিং এর অভাবে ভালভাবে প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই ব্রিটিশ ইনফিনিটি রিসোর্স সেন্টার ( উত্তরা ব্রাঞ্চ ) দিচ্ছে আইএলইটিএস এর প্রস্তুতি এবং ভাল স্কোর পাওয়ার জন্য স্পেশাল আইইএলটিএস কোর্স। যাতে থাকছে সব কিছু, যা ভাল পয়েন্টের জন্য যথেষ্ট হবে।
✅ যার মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থি ই ভাল মানের গাইডলাইন এবং টোটাল মনিটরিং এর সুযোগ পাবে। যেটা আইইএলটিএস এ ভাল স্কোর গড়ার জন্য খুব ভাল ভাবে সহযোগিতা করবে। আমাদের পুর্ব অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এই বিষয়ে শতভাগ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
✔ ✔ বিশেষ অফারে আইএলইটিএস কোর্সে এনরোল করতে পারেন আমাদের বিশেষ ব্যাচে।
বিস্তারিত জানতে চলে আসতে পারেন আমাদের অফিসে, অথবা আমাদের হটলাইনে কল করে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিত।
🏢 আমাদের ঠিকানাঃ
৩০ সোনারগাঁও জনপথ, সেক্টর ১১, উত্তরা ঢাকা ১২৩০।
(জম জম টাওয়ারের বিপরীতে)
চাইলে আমাদের কল করেও বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন সহজেইঃ
+8801713588603 – 05
British Infinity Resources Ltd.
বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিশ্বস্ত সহযোগী।
0 +
Partner Universities
0 +
Students
0 +
Years Experienced Counselors
0 %
Success Rate
Related Articles
Explore
Suggested

জেনে নিন মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার আবেদনের সকল তথ্য

কম খরচে পড়াশোনা ও অস্ট্রেলিয়াতে সহজেই Credit transfer করার জন্য মালয়েশিয়া ই হতে পারে আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত। মালয়েশিয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থান। যদি

Read More

সাধ্যের মধ্যে মালয়েশিয়ায় স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষার সুযোগ

সর্বনিম্ন্ন খরচে বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ | কেন যাবেন মালয়েশিয়া ? কোন ভিসা ইন্টারভিউ নেই। ১০০% ভিসা গ্যারান্টি। ইন্… See

Read More

SSC পাশের পরেই মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা

মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ থেকে Visa হওয়ার সম্ভাবনা এখন শতভাগ। কম খরচে মালয়েশিয়াতে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় Subjects গুলোতে পড়াশোনা করে নিজের Career গড়ুন। যে সকল Subjects আপনাকে

Read More

বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সকল তথ্য। জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রশ্নোত্তর।

প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ গুলো উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রায় ১৭ লাখ স্টুডেন্ট কে ৬৫ হাজার কোটি টাকার মত স্কলারশিপ দিয়ে থাকে বিদেশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো

Read More
Connect with us