











কেউ যদি ইউকের একটি বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে চায় তাহলে তার প্রথম কাজ হবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। কারন বিষয়টি এমন নয় যে কেউ চাইলো আর সে স্কলারশিপ পেয়ে যাবে। মানে হচ্ছে এটা একটা আগাম প্রস্তুতির বিষয়, যা অনেক আগে থেকেই শুরু করতে হবে।
শুধু ভাল ফলাফল ই নয়, সঠিক সময়, নিয়মানুযায়ী এই কাজ গুলো করতে না পারলে সফল হওয়ার চান্স খুব কম।
তাই যে দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য জেতে চান সে দেশ সম্পর্কে, আর্থ-সামাজিক অবস্থার সম্পর্কে, টিউশন ফি, লিভিং এবং ফুড কস্ট সম্পর্কে সম্যক ধারনা অর্জন করতে হবে।
তাহলে সে জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নেয়া যাবে কিনা সেটা আগাম ভাবেই বোঝা যাবে সহজেই। নির্দিষ্ট নিয়মানুযায়ী যা যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেই দেয়া থাকে; সেখান থেকে আবেদনের পরে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ভর্তির প্রাথমিক অনুমতি জানিয়ে যে চিঠি দিবে তাই অফার লেটার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত অফার লেটার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বার বার পড়তে হবে। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারো সহায়তায় গ্রহন করা জেতে পারে। কারন ভিসা প্রাপ্তির জন্য এটা খুব ই গুরুত্বপুর্ন বিষয়। কারন প্রাথমিক অনুমতি পাওয়া আর ভিসা প্রাপ্তি এক জিনিষ নয়। তাই ভালভাবে টিউশন ফি, স্কলারশিপ সহ সকল তথ্য হিসেব করে নিতে হবে প্রথমেই।


প্রথমেই বলে নিয়েছি যে মোটা দাগে বিদেশে পড়াশুনা এবং স্কলারশিপের ক্ষেত্রে যে ৩ টি বিষয় গুরুত্বপুর্ন তা হল ভালো রেজাল্ট, ভাষা দক্ষতা, সময়মত পরিকল্পনা গহন ও নিরলস প্রচেষ্টা। এ কয়টি জিনিসই বিদেশে উচ্চশিক্ষা বৃত্তি পাওয়ার পূর্বশর্ত।
এ বিষয়গুলো যথা যথভাবে পালন করলেই স্কলারশিপ খুব সহজেই হাতে নাগালে চলে আসবে। নাহয় স্কলারশিপ প্রাপ্তির সম্ভাবনা না থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
এই ক্ষেত্রে রেজাল্ট, ভাষা দক্ষতার সাথে বিদেশের বিভিন্ন ভার্সিটির রিকুয়ারমেন্ট কে এনালাইসিস করতে হবে। এটা খুব ই গুরুত্বপুর্ন এই জন্য যে এটার উপরেই নির্ভর করবে স্কলারশিপের সুযোগের হার কেমন হবে।
যদি রেজাল্ট খুব ভাল হয় তবে তো চিন্তা কম, আর যদি রেজাল্ট আশানুরূপ না হয় তবে আপনার রেজাল্ট এবং ভার্সিটি রিকুয়ারমেন্ট মিলে যায় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুযে বের করতে হবে।
এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী আংশিক স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে হিসেব করে নিতে হবে যে বাকি টিউশন ফি দিয়ে পড়াশুনা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া যাবে কিনা।
আর এইসব তথ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট দিয়ে দেয়া থাকে। অথবা আপনি চাইলে ব্রিটিশ ইনফিনিটি রিসোর্স সেন্টারের উত্তরা শাখায় এসে আপনার রেজাল্টের সাথে সবচেয়ে ভাল ভার্সিটির তথ্য জেনে নিতে পারেন সহজেই।


যেহেতু আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশের প্রধান ভাষা যেহেতু ইংরেজি তাই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। পড়াশুনা হবে ভিন্ন ভাষায় তাই ভিন্ন ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে ভালভাবেই। ইংরেজি এই ক্ষেত্রে সবার থেকে এগিয়ে। কারন ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয় আসছে।
তাই এই ক্ষেত্রে বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো স্বীকৃত প্রাপ্ত কিছু আন্তর্জাতিক ল্যাংগুয়েজ টেস্টিং পরিক্ষার রেজাল্টের উপরে ভিত্তি করে ভাষার দক্ষতা পরিমান করে নিয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক ইংরেজি ভাষা পরিক্ষার জন্য স্বীকৃত কিছু পদ্ধতির মধ্যে আছে IELTS, TOEFL, GRE, GMAT, NEWSAT ইত্যাদি।
তবে এগুলোর ভিতরে IELTS সবচেয়ে বেশি স্বীকৃত এছাড়া দেশ হিসেবে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে যদিও সব দেশের ভাষাই ইংরেজি।
আর এই ক্ষেত্রে বেশিরভাগই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে মান চেয়ে থাক, তা হল; আইইএলটিএস (IELTS) স্কোর ৫.৫ থেকে ৬.৫, টোফেল (TOEFL) স্কোর ৬০ থেকে ১০০। এছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে জিআরই (GRE) অর্থাৎ- Graduate Record Examination, জিম্যাট (GMAT) অর্থাৎ- Grauate Management Admission Test, নিউস্যাট (NEWSAT) ইত্যাদি পরীক্ষার প্রয়োজন হয়ে থাকে।


এটা নির্ভর করে আপনি কোন দেশে যাচ্ছে পড়াশুনার জন্য, সেখানে আপনার টিউশন ফি কেমন, স্কলারশিপে যাচ্ছে না ফুল টিউশন ফি দিয়েই পড়তে যাচ্ছেন কিনা, সেখানে লিভিং এবং ফুড কষ্ট কেমন ইত্যাদি অনেক গুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে যে পড়াশুনার খরচ কেমন হবে। মানে আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে খরচ ও হয়ে থাকে আলাদা। তাই যাওয়ার আগে, ভার্সিটি সিলেক্ট করার আগে, আপনার রেজাল্ট যাচাই করুন, সাথে স্কলারশিপের সুযোগ প্রদান করে এমন ভার্সিটি খুজে বের করুন।
অথবা ব্রিটিশ ইনফিনিটি রিসোর্স সেন্টারের অফিসে চলে আসতে পারেন, আমরাই আপনার হয়ে সঠিক ইউনিভার্সিটি খুজে দিতে সহযোগিতা করবো।


একটা বিষয় এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে যদি আংশিক স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন তবে বাকি টিউশন ফি দেয়ার সক্ষম ব্যাক্তির তথ্য দুতাবাসে উপস্থাপন করতে হবে, এবং সে যেন রক্তের সম্পর্কের হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। নাহয় ভিসা প্রাপ্তি না হওয়ায় স্বাভাবিক বিষয়।

এটা সবচেয়ে সহজ উত্তর হল যে দেশটি রেজাল্ট, ভাষা দক্ষতা, এবং আর্থিক বিষয়টা বিবেচনায় রেখে মুল্যায়ন করবে সে দেশটিকেই বাছাই করে নিতে পারেন। আর্থিক অসঙ্গতি থাকবে এমন কোন দেশ না বুঝেই পছন্দ না করাই ভাল।
তাই কোন দেশের ভিসা নিবেন সেটা চিন্তা করার আগে নিজের সক্ষমতা, রেজাল্ট, ভাষা দক্ষতার ব্যাপারে জেনে বুঝে তারপরেই আবেদন করতে পারেন। আর সব দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তাদের অনলাইন সাইটেই দিয়ে দেয়া থাকে, চাইলে যাচাই করে নিতে পারেন নিজে নিজে। এছাড়া আমরাও চাইলে আপনাকে সহযোগিতা করতে পারি।


আমাদের ঠিকানাঃ
৩০ সোনারগাঁও জনপথ, সেক্টর ১১, উত্তরা ঢাকা ১২৩০।
(জম জম টাওয়ারের বিপরীতে)

+8801713588603 – 05
British Infinity Resources Ltd.
বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিশ্বস্ত সহযোগী।